বাসা থেকে বেরোলেই এ বায়ুদূষণ হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারেন রাজধানীবাসী। ধুলায় আচ্ছন্ন শহরটি যেন কুয়াশা মতো ঢেকে থাকে সারাক্ষণ।
বায়ুদূষণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। গতবছর রাজধানীর ছয়টি স্কুলের শিশুদের ফুসফুসের কার্যকারিতার উপর এক গবেষণা চালানো হয়। গবেষকরা বলছেন, ২৫ শতাংশ শিশুর ফুসফুস পূর্ণমাত্রায় কাজ করছে না এবং এদের বেশিরভাগেরই বয়স নয় থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। বায়ুদূষণের ফলেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান গবেষকরা।
দূষিত বায়ু থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষা দিতে একটি কার্যকরী বস্তু মাস্ক। বিশেষ করে শিশুদের স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসার পথে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
বাজারে বিভিন্ন প্রকার মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। তবে দূষিত বায়ুর হাত থেকে ফুসফুসকে বাঁচাতে সব ধরনের মাস্ক সমান কার্যকরী নয়।
মাস্ক কেনার সময় সেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা-
১. আমরা বেশিরভাগ সময়ই সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করি। কারণ, সার্জিক্যাল মাস্ক সবচেয়ে সহজলভ্য। প্রায় সব ওষুধের দোকানেই এ মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বায়ুদূষণ প্রতিরোধে সার্জিক্যাল মাস্ককে সবচেয়ে কম কার্যকরী বলে মনে করা হয়।
২. ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফিল্টার বিশিষ্ট মাস্ক বায়ুমণ্ডলের দূষিত কণাগুলো পরিশোধনে অধিক কার্যকরী। তবে মাইক্রো-ফিল্টার যুক্ত মাস্কের দামও তুলনামূলক বেশি।
৩. মাস্কে সাধারণত এন(N), আর(R) ও পি (P) এই তিন ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করা হয়।
এন(N) মাস্ক মূলত ধুলা-বালি থেকে সুরক্ষা দেয়।
আর(R) ক্যাটাগরির মাস্ক স্বল্প মেয়াদের ব্যবহারের জন্য ভালো। তবে এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহারে এর কার্যকারিতা কমে আসে।
পি() ক্যাটাগরির মাস্ক প্রায় দূষিত বায়ু ও ধুলা-বালি উভয়ই পরিশোধনে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। এ মাস্ক এক মাস পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়।
৪. ফিল্টার যুক্ত মাস্কের মধ্যে বা প্যাকেটের গায়ে এক কার্যকারিতার মাত্রা লেখা থাকে। ফিল্টারের কার্যকারিতা বোঝাতে ৯৫, ৯৯, ১০০ ইত্যাদি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। ৯৫ সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করা হচ্ছে, এ মাস্ক বায়ু থেকে ৯৫ শতাংশ দূষিত উপাদান ফিল্টার করতে সক্ষম।
৫. ৯৯ শতাংশ কার্যকারিতা সম্পন্ন এন(N) ক্যাটাগরির মাস্ক হতে পারে একটি ভালো বিকল্প। এটা একই সঙ্গে সাশ্রয়ী ও বায়ুর দূষিত উপাদান পরিশোধনে কার্যকরী।
৬. খেয়াল রাখতে হবে মাস্কটি যেন আরামদায়ক হয়।
৭. একটি মাস্ক কতদিন বা কতবার ব্যবহার করা যাবে তা মাস্কের গায়ে লেখা থাকে। কেনার আগে তা ভালো করে পড়ে নিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ