কিন্তু বিশ্বের নামকরা ফিটনেস এক্সপার্টরা বলেন, ওজন কমানো আসলে তেমন কঠিন কাজ নয়। এমনকি অনেক কম সময়ের ব্যবধানেও ওজন কমানো সম্ভব।
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন ফিটনেস এক্সপার্টরা। এতে আপনার শরীরের ওজন দ্রুত কমতে শুরু করবে। এমনকি মাত্র দশদিনের মধ্যেই নিজের পরিবর্তনটা টের পাবেন আপনি।
ব্যায়ামের মাধ্যমে দিন শুরু
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের ২০ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠুন। এই সময়টা ব্যায়ামের জন্য বরাদ্দ রাখুন। দিনের শুরুটাই ব্যায়ামের সবচেয়ে আদর্শ সময়। গবেষণায় দেখা যায়, অন্য সময়ের তুলনায় দিনের শুরুতে ব্যায়াম করলে তা ওজন কমাতে ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অধিক কার্যকরী।
বারবার ওজন মাপার অভ্যাস বর্জন করুন
প্রতিদিন ওজন মাপার অভ্যাস ত্যাগ করুন। বারবার ওজন মাপার প্রবণতা আপনাকে মূল লক্ষ্য থেকে দূরে ঠেলে দিতে পারে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ওজনে আশানুরূপ পরিবর্তন দেখতে না পেয়ে অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। সপ্তাহে একবার করে সকাল বেলা ওজন মাপুন।
আপনি কি আসলেই ক্ষুধার্ত
অনেক সময় ক্ষুধা না লাগলেও খেতে ইচ্ছা করে। আপনার আসলেই ক্ষুধা লেগেছে কিনা তা বোঝার একটা চমৎকার পদ্ধতি রয়েছে। একটা বড় সাইজের আপেলের দিকে তাকান। আপনার সঙ্গে আপেল না থাকলেও, মনে মনে তা চিন্তা করলেও হবে। এবার ভাবুন, আপনি কি আপেলটি খেয়ে পুরোপুরি শেষ করতে পারবেন? যদি আপনার মনে হয় আপেলটি খেয়ে শেষ করা সম্ভব নয়, তবে আপনি এখনও যথেষ্ট ক্ষুধার্ত নন।
ঘরের খাবার খেতে চেষ্টা করুন
বেশিরভাগ সময়ই ঘরে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে খাবারটা আপনি নিজেই রান্না করুন। নিজের তৈরি খাবারের সুগার, ফ্যাট, লবণ ও তেলের পরিমাণ আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কেনা খাবারে সে সুযোগ নেই। তাছাড়া কেনা খাবার গ্রহণের প্রবণতা অনেক সময় অলসতার জন্ম দেয়।
পানির সঙ্গে একাত্মতা
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। বিভিন্ন গ্রীষ্মকালীন ফল যেমন- তরমুজ, আম ইত্যাদি বেশি করে খেতে পারেন। বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজিও বাদ দেবেন না। সাঁতার জানা না থাকলে দ্রুত শিখে ফেলুন। প্রতিদিন অন্তত কয়েক মিনিট করে সাঁতার কাটার অভ্যাস করুন। এতে ভবিষ্যতেও আপনার ওজন বেড়ে যাওয়া ও স্বাস্থ্যহানি ঘটার ঝুঁকি কমে যাবে।
ধীরে ধীরে খাবার গ্রহণ করুন
ধীরে ধীরে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে দেহের হজম প্রক্রিয়া ভালোভাবে কাজ করতে পারে। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণও এড়ানো সহজ হয় এতে। খাওয়ার সময় মানসিক চাপ, উদ্বেগ ইত্যাদি দূরে সরিয়ে রাখুন।
প্রোটিন
খাবার নির্বাচন করার সময় প্রোটিনের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার। প্রোটিন পেশি গঠনে সহায়ক। প্রোটিন জাতীয় খাবার হজম হতে সময় লাগে। তাই ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোটিনের তুলনা নেই।
অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জন করুন
প্যাকেটজাত খাবার পরিহার করুন। এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। নাস্তার জন্য বাদাম, ফল, চা, টক-দই, ছোলা, দুধ ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে।
আত্মবিশ্বাস
নিজেকে কেমন স্বাস্থ্যে দেখতে চান তা কল্পনা করুন। আয়নায় নিজেকে এই কল্পনার মতো দেখার আগে কখনোই হাল ছাড়বেন না। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। আত্মবিশ্বাস আপনার উৎসাহে জ্বালানির মতো কাজে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এনএইচটি/এএ