গবেষণায় ৪০ থেকে ৮০ বছর বয়সী সুইডিশদের মেডিকেল তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকরা বলছেন, কুকুর পালন মানুষের শারীরিক কার্যকলাপ ও সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
তাছাড়া কুকুর মাইক্রোবায়োম (microbiome) নামে পরিচিত কিছু গৃহস্থালি ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকেও মালিককে সুরক্ষা দেয়। কুকুর পালনে ঘরের ধুলাবালি, ময়লা ইত্যাদির পরিবেশগত পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তন কিছু গৃহস্থালি ব্যাকটেরিয়াকেও প্রভাবিত করে।
যেসব মানুষ একাকী বসবাস করেন তাদের বিশেষ সুরক্ষা দেয় কুকুর। গবেষকদলের প্রধান মিয়েনইয়া মুবাংগা (Mwenya Mubanga) বলেন, একাকী বসবাসকারী কুকুর মালিকদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কম এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম ১১ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, এর আগে গবেষণায় দেখা যায় একাকী বসবাসকারী মানুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি। সুতরাং, একাকী মানুষের জন্য কুকুর হয়ে উঠতে পারে পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
কিছু শিকারি প্রজাতির কুকুর যেমন- রিট্রাইভার, হাউন্ড, টেরিয়ার ইত্যাদি পালন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে অধিক কার্যকরী।
বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স রিপোর্টসে প্রকাশিত এ গবেষণাপত্রটি তৈরি হয়েছে ২০০১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। জাতীয় তথ্যভাণ্ডার থেকে এ সময়ের মধ্যে সুইডেনের হাসপাতালগুলোতে সেবা নিতে আগত নাগরিকদের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে কুকুর মালিকদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয় সেদেশে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এনএইচটি/এএ