রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে শনিবার (২৫ নভেম্বর) এমন তথ্য জানানো হয়। হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ দু’দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনরফারেন্সে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, হেমাটোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে থ্যালাসেমিয়াসহ জন্মগত হিমোগ্লোবিন ডিজঅর্ডারের বাহক প্রায় ৮৪ লাখ মানুষ। এছাড়া দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত। অন্যদিকে হিমোফিলিয়া রোগীর সংখ্যাও প্রায় ২০ হাজার। দিন দিন এর ভয়াবহতা আরও বাড়ছে।
এ রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়ে তারা আরো বলেন, দেশে বর্তমানে চিকিৎসা সেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। বর্তমান সরকার আরো উন্নত করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশে বর্তমানে তিনটি প্রতিষ্ঠানে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের সুযোগ রয়েছে। বিএসএমএমইউ ও ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া দেশের ৮টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে রক্তরোগ চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে।
ব্লাড ক্যান্সার ও হিমোফিলিয়া রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, যা অধিকাংশ রোগীর পক্ষে বহন করা সম্ভব হয় না। এসব রোগের ব্যয়ভার সহনীয় করার জন্য কনফারেন্স থেকে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। একই সঙ্গে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশে ক্রমবর্ধমানভাবে বিভিন্ন রক্তরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের একটি পূর্ণাঙ্গ হেমোটলজি ইনস্টিটিউট ও হেমোটোলজি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ