বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেটের অর্থে সংগৃহীত সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাপান থেকে আনা সর্বাধুনিক এ অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিককে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকগুলো মেডিকেল কলেজ আমরা দিয়েছি। ...মেডিকেল কলেজগুলো আমরা করে দিচ্ছি, কিন্তু তার মানটা বজায় রাখতে হবে যে, কী চিকিৎসা বা কী শেখানো হচ্ছে। রোগী মারার ডাক্তার হচ্ছে, নাকি রোগী বাঁচানোর ডাক্তার হচ্ছে। এটা একটু ভালো করে দেখতে হবে। পড়াশোনা, কারিকুলাম দেখতে হবে। ’
এসময় হাতে-কলমে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন শেখ হাসিনা।
ভালো মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলো অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সারা বাংলাদেশে আমাদের ইন্টারনেট সার্ভিস আছে। পৃথিবীটা এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। ...ভালো মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলো যেন তারা দেখতে পারে। ক্লাসগুলো দেখানোর ব্যবস্থা করা হলে অনেকে লাভবান হবে। ’
বাংলাদেশে বিদেশি চিকিৎসক আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু কিছু বিদেশি চিকিৎসককে আমাদের দেশে আসতে দেওয়া উচিত, পড়ানোর জন্য। তাদের এখানে পড়ানোর সুযোগ দেওয়া হলে এদের সঙ্গে কাজ করে আমাদের এখানকার ডাক্তাররা অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন। তাহলে আমাদের রোগীদের আর বিদেশে যেতে হয় না। ’
দেশে গ্যাস্ট্রোয়েন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাতেগোনা কয়েকজন গ্যাস্ট্রোয়েন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছেন। অথচ বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ পেটের পীড়ায় ভোগে। ’
গ্যাস্ট্রোয়েন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও বিশেষায়িত এ বিভাগকে সমৃদ্ধ করারও নির্দেশনা দেন তিনি। পাশাপাশি গ্যাস্ট্রোয়েন্টারোলজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
হাওর ও দ্বীপাঞ্চলে নৌ অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ায় গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দ্বীপাঞ্চল ও হাওরাঞ্চলে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স খুব দরকার। ’
হাসপাতাল ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হলে তাৎক্ষণিক সারিয়ে নিতে আলাদাভাবে ‘রক্ষণাবক্ষণ বাজেট’ খাত তৈরিরও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথম ধাপে দেওয়া সাতটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বান্দরবান সদর হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, খুলনার ফুলতলা, কুড়িগ্রামের রাজীবপুর, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এমইউএম/এইচএ/
** মফস্বল ছেড়ে আসা ডাক্তারদের চাকরির দরকার নেই
** ভরপেটে শিশুকে টিকা খাওয়ান