যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ইন্টারন্যাশনাল পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. খন্দকার এম রহমান বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) ধানমন্ডির গ্রিন রোডের ঢাকা পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে আয়োজিত এক কর্মশালা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় যোগ দেন তিনি।
ডা. খন্দকার এম রহমান বলেন, ইন্টারভেনশন বা শরীরে ব্যথার সঠিক স্থানে ইনজেকশন প্রয়োগ করে ব্যথা সারানো হয়। ফলে সেখানকার নার্ভ ধ্বংস হয়ে যায়। তাই ব্যথা মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে না। এভাবে রোগী ব্যথা থেকে চিরতরে মুক্তি পান।
‘এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। বছর খানেকের মধ্যে সেই নার্ভ সেল আবারও বিনির্মাণ হয়ে যায়,’ যোগ করেন তিনি।
ডা. এম রহমান বলেন, বিশেষ কোনো কারণে মানুষের ব্যথা হতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হাড়ের সংযোগস্থল ক্ষয়ে যায়। এর মাঝের সংশ্লিষ্ট উপাদানে পড়ে ঘাটতি। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যথা হয়।
‘এখানে ক্যান্সার রোগীর জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। জটিল ব্যথা নিরাময়ে ইনজেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যা রোগীর ক্যথা কমিয়ে কষ্ট লাঘব করতে পারে। ’
ঢাকা পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আখতারুজ্জামান বাংলনিউজকে জানান, কয়েকজন চিকিৎসক মিলে গ্রিন রোডে এ সেন্টার চালু করেছেন তারা। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে কার্যক্রম চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো এনেসথিওলজি অ্যান্ড পেইন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, এটি একটি রির্সাস সেন্টারও। গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে জাপান, ভারত, ইউরোপ আমেরিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
‘আর এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ইন্টারন্যাশনাল পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের ব্যথা বিশেষজ্ঞ ডা. খন্দকার এম রহমান এখানে এসেছেন। ’
শুক্রবারের ২০ জন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়েছেন ডা. খন্দকার এম রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
কেজেড/এমএ