সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আলোচনার সভার আয়োজন করেছে এনবিআর।
সভায় দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও ডাকা হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলকে।
অথচ সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই প্রধান অংশীদার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটানোর এই প্রচেষ্টা তামাকবিরোধীদের মনে নতুন শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
তামাকবিরোধীদের মতে, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে শেষ পর্যন্ত তামাক কোম্পানির পরামর্শই চূড়ান্তভাবে গৃহীত হতে পারে।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী তামাক পণ্যের প্যাকেটের উপরিভাগে মুদ্রণ বাধ্যতামূলক মর্মে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলেও বিসিএমএ কর্তৃক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গণবিজ্ঞপ্তিটির কার্যকারিতা প্রথমে তিনমাস ও পরবর্তীতে নভেম্বরে আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ববোর্ড গত ২৪ আগস্ট এক পত্রের মাধ্যমে সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ওই গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায়।
তামাকের বিরূপ প্রভাব উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের আগেই দেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। আইন অনুযায়ী সঠিক পন্থায় দেশে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবেনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসই/এএটি