বাংলানিউজকে তিনি জানান, ওইদিন সকাল ৯টায় শিশু দু’টির এনজিওগ্রাম করা হবে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পুনরায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
যমজ কন্যাশিশুর বাবা রফিকুল জানান, চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছে রাবেয়া-রোকাইয়াকে আলাদা করতে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। অস্ত্রোপচার তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তবুও তাদের সুস্থ করতে অস্ত্রোপচার জরুরি।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে শিশু দুটির চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জোড়া লাগানো যমজ কন্যাশিশু দুটির মাথা আলাদা করা ও তাদের চিকিৎসায় ২০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ বোর্ডের সঙ্গে নতুন যোগ হওয়া হাঙ্গেরির দুই সার্জনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ছোট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের ব্রেইনের এনজিওগ্রাম করা হবে। পরে তাদের ব্রেইনের সব রক্তনালী পরীক্ষা করা হবে।
সবকিছু যাচাই করে পরে অস্ত্রোপচারের দিকে যাওয়া হবে। আলাদা করার জন্য প্রতিটি অপারেশন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শিশু দুটির বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে তাদের বাবা মাকে জানানো হয়েছে। তারাও এতে রাজি হয়েছেন বলে জানান ডা. সেন।
এদিকে, যমজ কন্যাশিশু বাবা-মা রাবেয়া-রোকাইয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এজেডএস/আরআইএস/