সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চিকিৎসকরা আব্বাসের শরীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ তথ্য জানায় সার্জিক্যাল টিম। আব্বাসের পিতা রাজ্জাক শেখও একই কথা জানান।
এদিকে, আব্বাসের চিকিৎসার জন্য ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের বাইরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া অব্যাহত রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিভিন্ন সময়ে আব্বাসের শারীরিক পরীক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রুহুল আমীন, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আক্তার ও কার্ডিলজি বিভাগের কনসালটেন্ড ডা. সেলিম মাহমুদ ১০০১ নম্বর কেবিনে আসেন। তারা নতুন করে আব্বাসকে ইকো ও লিভার ফাংশন পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।
আব্বাসের শারীরিক উন্নতির কথা জানিয়ে আব্বাসের চিকিৎসায় গঠিত সার্জিক্যাল টিমের সদস্য ও হাসপাতালটির সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো ওবায়দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আব্বাসের চিকিৎসার ব্যাপারে আশাবাদী। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তার ডান পায়ের ক্ষত স্থান নিয়মিত ড্রেসিং করা হচ্ছে। তাই দুর্গন্ধযুক্ত রস পড়া বন্ধ হয়েছে।
আব্বাসের পিতা রাজ্জাক শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আব্বাসের পায়ের ফোলা অংশ থেকে দুর্গন্ধযুক্ত রস পড়ছে না এখন।
এদিকে, রোববার দিবাগত রাতে আব্বাসকে দেখতে হাসপাতালে যান গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হামিদুর রহমান নুর এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নুরুজ্জামান নবীন। এসময় তারা আব্বাসকে নতুন পোশাক পড়িয়ে দেন। আব্বাস ও তার বাবাকে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন।
১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাসকে নিয়ে গণমাধ্যমের সংবাদ ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অধ্যাপক ড. এমএ আজিজের নজরে আসে। পরে তিনি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৩ বছরের কিশোর আব্বাসের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং ওই হাসপাতলে তাকে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সেখানেই আব্বাসের চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
টিএ