জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ২১১ সরকারি কর্মচারী একযোগে যোগদান করায় জনবল সংকট কমে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতাল প্রশাসন এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জনবল সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস ক্লিনকো কর্তৃপক্ষকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে হাসপাতালে ২১৫ জনবলের একটি নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মন্ত্রণালয়ের আদেশে ওই নিয়োগ প্রাপ্তরা ২৬ মাস ধরে কর্মস্থলে কোনো কাজের আদেশ পায়নি। পরবর্তীতে তারা আদালতের দারস্থ হন এবং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২১১ জন কর্মস্থলে যোগদান করেন।
তাদের যোগদানের পরপরই কর্মচারীরা হাসপাতালের বহিঃবিভাগ থেকে শুরু করে অন্তঃবিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটে কাজ করতে শুরু করে দেয়। এর ফলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জনবলের সংকট না থাকায় হাসপাতালে কন্ট্রাক্ট সার্ভিসের জনবল প্রয়োজনীয়তা কমে যায়।
এ অবস্থায় সোমবার (৫ মার্চ) হাসপাতাল পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আবদুল কাদির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১ এপ্রিলের পর জনবল সরবরাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে হাসপাতালের বি-ব্লকের ১০৩ নম্বর কক্ষটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এমএস/জিপি