বুধবার (২৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ২ লাখ ৯২ হাজার ডোজ কন্ট্রাসেপ্টিভ এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৩০ লাখ প্যাকেট ওরস্যালাইন দিয়েছে।
গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গারা প্রকট স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখিন হচ্ছে এবং সেখানে রয়েছে স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য সামগ্রীর অপ্রতুলতা। বিশেষ করে, নবজাতক, শিশু, স্তনদাত্রী ও গর্ভবতী নারীরা অপুষ্টি, সংক্রামক রোগ ও খাদ্য অনিরাপত্তার স্বীকার হচ্ছে।
ইউএসএইড মিশন ডিরেক্টর ইয়ানিনা জারুজেলস্কি জানান, সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে ইউএসএইড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটে সাহায্যের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ইউএসএইড মূলত জরুরি জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা এবং পুষ্টি সেবামূলক সহায়তা প্রদান করছে।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএইড’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৭শ কোটি ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। ২০১৭ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে প্রায় ১শ কোটি ডলার দিয়েছে।
ইউএসএআইডি বাংলাদেশে যে সব কর্মসূচিতে সহায়তা দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে– গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়ন ও অভিযোজন এবং স্বল্প কার্বন উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সংগে খাপ খাওয়ানো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
জিপি