বুধবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে এ দলটি হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করে।
এদিকে, সিভিল সার্জনের গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) রাতে সংশ্লিষ্ট দফতরে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল চুয়াডাঙ্গায় আসছে।
বিএমডিসি’র দলটি তদন্তকালে ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের রোগীদের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ ও অপারেশন থিয়েটার ঘুরে দেখে।
বিএমডিসি’র তদন্ত দলের দুই সদস্য হলেন- বিএমডিসি’র খুলনা বিভাগীয় সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন খুলনার (বিএমএ) সহ সভাপতি ডা. বাহারুল আলম এবং খুলনা বিভাগীয় চক্ষু চিকিৎসক সমিতির (ওএসবি) সভাপতি ও গাজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মনোজ বসু।
৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোমিরয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ছানি পড়া ২৪ রোগীর একটি করে চোখে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের একদিন পরই ছাড়পত্র দিয়ে রোগীদের বাড়িতে পাঠানো হয়। ফেরার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ২০ রোগীর চোখে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। পরে ওই ২০ রোগী একে একে পুনরায় হাসপাতালটিতে গিয়ে ভর্তি হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় ২০ জন রোগীরই চোখে ধরা পড়ে ইনফেকশন। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোপনে ওই ২০ জনকে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও ভিশন আই হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে ২০ জনের প্রত্যেকের পুনরায় অপারেশন করে ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়া চোখটি তুলে ফেলা হয়।
২৭ মার্চ (বুধবার) ঘটনাটি জানাজানি হলে চুয়াডাঙ্গা জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে ওইদিনই বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন খায়রুল আলমের নির্দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যর একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়।
ওই তদন্ত টিমের প্রধান করা হয় সদর হাসপাতালের চক্ষু কনসালটেন্ট ডা. শফিউজ্জামান সুমনকে।
এদিকে, এ ঘটনা তদন্তে তিনটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
টিএ