এক সপ্তাহ ধরে এর প্রবণতা বেড়েছে বলে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ডা. জসিম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) নয়টি শিশু ভর্তি হয়েছে। সোমবার (৯ এপ্রিল) এখানে ৬১টি শিশু ভর্তি ছিল।
মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইসরাত জাহান জানান, ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে ৩০ শতাংশ শ্বাসকষ্টের, ২৫ শতাংশ ডায়রিয়া ও ৭ শতাংশ জ্বরের রোগী রয়েছে। গরমের কারণে এ জেলায় এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়েছে। এছাড়া সাত/আটজন জন্ডিসের রোগীও রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, গরমে বাইরের পচা-বাসি খাবার, দূষিত পানির কারণে বাচ্চাদের ডায়রিয়া ও জন্ডিস হচ্ছে। এছাড়া গরমের কারণে পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে বাচ্চাদের। একই কারণে শ্বাসকষ্টজনিত নিউমোনিয়া কিংবা ব্রঙ্কিউলাইটিস রোগের প্রবণতা বেড়েছে।
জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জসিম উদ্দিন বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি, পচা-বাসি খাবার ও দূষিত পানি পান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আর বাচ্চারা ঘামলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
আরবি/