বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। তাই মেঝেতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) থেকে মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।
এদিকে, বরগুনা সদর উপজেলার খাজুরতলা এলাকার বাসিন্দা সবুজ তার সাত মাসের ছেলে সাইফুলকে নিয়ে সোমবার (০৯ এপ্রিল) সকালে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। সব ওষুধ ও স্যালাইন বাহির থেকে কিনে আনতে হয়েছে তাকে। সদর উপজেলার উত্তর ইটবাড়িয়া থেকে আসা রোগী শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, আমি চারদিন ধরে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি আছি। কিন্তু যেভাবে চিকিৎসা পাওয়ার কথা, তেমন পাচ্ছি না। বেডে থাকার ব্যবস্থা নেই। তাই কষ্ট করে হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি আকরিতা বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনে ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি। অতিরিক্ত গরম, ফুট পয়জনিং এবং বিশুদ্ধ পানির অভাব এ রোগ উৎপত্তির একমাত্র কারণ। তাছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ১২টি বেড। পর্যাপ্ত বেড না থাকায় রোগীদের থাকার স্থান দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের মেঝেসহ আনাচে-কানাচে।
তিনি আরো বলেন, খাওয়ার স্যালাইন ও অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন হাসপাতাল থেকে সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীর বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বাহির থেকে ওষুধ এনে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
টিএ