শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর চানখারপুলে অবস্থিত নির্মাণাধীন ইনস্টিটিউটটির বর্তমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি যে কোনো প্রকার অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।
এই বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জন্য নার্স প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইনস্টিটিউটটির ১৪ তলার কাজ সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। এরপর আর একতলার কাজ সম্পন্ন হলেই অবকাঠামো ভিত্তিক কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর হাসপাতালের যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। ডাক্তাররাও প্রস্তুত রয়েছে। যেহেতু এটি একটি ইনস্টিটিউট সেহেতু এখানে ডাক্তার ও নার্সদের দরকার হবে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। সেনাবাহিনী দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে এই নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করছে। এখানে কর্মরত সবাই শুধু মৌখিকভাবে নয় কাগজে-কলমে ও বাস্তবে সেপ্টেম্বরের আগে কাজ শেষ করার নিশ্চিত করেছেন। চানখারপুলের এই জায়গাটিতে অবৈধ স্থাপনা দিয়ে পরিপূর্ণ ছিলো। জায়গাগুলোকে উদ্ধার করে এই বৃহৎ কাজে জাতির কল্যানার্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নেপালের বিমান দুর্ঘটনা ছাড়াও দেশের মানুষের চিকিৎসার চাহিদা অনুসারে আমরা অনুধাবন করতে পেরেছি ইনিস্টিটিউট তৈরি করা কতটা জরুরি। এছাড়া দগ্ধ রোগীদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী একটু বেশি সহানুভূতিশীল। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এ কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, বিএনপি সবসময় রাজনীতিতে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। যে কারণেই তারা বলছে প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের তথা সরকারের পরাজয় ঘটেছে। কিন্তু আমি বলবো এর মাধ্যমে আমরা জয়ী হয়েছি। কেননা আমরা সর্বদা জনগণের পাশেই থাকি।
নির্মাণাধীন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটটি ঘুরে দেখে দ্রুত কার্যক্রমের প্রশংসা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, নির্মাণাধীন ভবনের প্রকল্প পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল শাকিল আহমেদসহ ঢামেক ও প্রকল্পটির আরও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে কাজ করছি। নার্সদের ট্রেনিং সিঙ্গাপুরসহ আরও অন্যান্য দেশে চলছে। প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র কেনার কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সেপ্টেম্বর মাসের আগেই কাজ শেষ হবে। ১৫ তলার কাজ শেষ করে বিল্ডিংয়ের অভ্যন্তরীণ কাজ ধরা হবে।
তবে ঢামেকের মূল ভবনের সঙ্গে রাস্তার ওপর দিয়ে একটি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এটার কাজ শুরু না হলেও দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলেও জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
এমএএম/জিপি