শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের দাবি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে না। অন্যদিকে ভুক্তভোগী রোগীরা বলছেন, এ কেমন বিচার।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ। এদিকে হামলার ঘটনার ২ ঘণ্টা পর হাসান মাহমুদ (৩০) নামে এক রোগীকে থানায় আনা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ওই রোগীকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। হাসান মাহমুদ শহরের লাইট হাউস এলাকার ইসমাইলের ছেলে।
রোগীর অভিভাবকদের হামলায় আহত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা হলেন, ডা. শেফায়েত হোসেন আরাফাত ও তাওহীদ ইবেনে আলাউদ্দিন। তারা দু’জন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও কিল-ঘুষি মারা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, রোগী হাসান মাহমুদের আত্মীয়-স্বজন। হামলাকারীদের মধ্যে সায়েম নামে এক যুবককে চিনতে পেরেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তিনটি গেটই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বাইরে থেকে কেউ ভেতরে যেতে পারছেন না, আবার ভেতর থেকে কাউকে বেরও হতে দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় অনেক রোগী আটকা পড়েছেন। অনেক আহত ও জরুরি রোগীকেও দেখা গেছে।
আহত ডা. শেফায়েত হোসেন জানান, সকাল ১১টার দিকে হাসান মাহমুদ নামে এক রোগী মুখে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। রোগীর চাপের মধ্যে তাকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় মারধর শুরু করে ৪-৫ জন যুবক। এরপর তারা রোগীকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পুচনু জানান, প্রায়ই চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। যারা সেবা প্রদান করবেন তাদেরকেই কারণে-অকারণে মারধর করা হচ্ছে। এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। চিকিৎসদের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
রোগীদের ভোগান্তির ব্যাপারে তিনি জানান, দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হবে। তবে তিনি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি কখন সেবা প্রদান শুরু হবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সয়: ১৫২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
টিটি/আরআর