বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে আদ্-দ্বীন উইমেনস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগের আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের নিউনোরজি বিভাগের প্রধান ও পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম এ কে আজাদ চৌধুরী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউরোসায়েন্সের প্রফেসর ডা. নায়লা জামান খান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আদ্-দ্বীন হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগের প্রধান ডা. হামিদুর রহমান, ডা. এম এ মান্নান ও ডা. তরিকুল ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন আদ্-দ্বীন উইমেনস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আফিকুর রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় ডা. নায়লা জামান খান বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে ২৪টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় শিশু বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ত্রুটি নিয়ে যেসব শিশু জন্ম নেয় তাদের মধ্যে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। আমাদের উদ্দেশ্য তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। এজন্য শিশু বিকাশ কেন্দ্রের চিকিৎসকদের অবশ্যই হাসিখুশি মনোভাবের হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে অ্যাপোলো এবং স্কয়ার হাসপাতালে শিশু বিকাল কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আদ্-দ্বীন হাসপাতালে যেহেতু শিশুর জন্ম হয় বেশি, তাই এখানে একটি শিশু বিকাশ কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে।
অধ্যক্ষ ডা. আফিকুর রহমান বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছি সবাই। আদ্-দ্বীন হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র খোলা হচ্ছে এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। ইতোমধ্যে আদ্-দ্বীন একটি ব্র্যন্ডে পরিণত হয়েছে। আশা করছি শিশু বিকাশ কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এনএইচটি