বুধবার (৯ মে) বেলা দেড়টার দিকের এই ঘটনায় ঢামেকজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। পরে পরিচালক ও অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপে ঘটনার মীমাংসা হয়।
সূত্র জানায়, খাদ্যনালীতে সমস্যাগ্রস্ত এক নারীকে অস্ত্রোপচারের জন্য সার্জারি ইউনিট-৩ এর চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে জরুরি বিভাগের তৃতীয় তলার ২ নং ওটিতে নেওয়া হয়। অপারেশনের আগে ওই নারীকে সাময়িকভাবে অচেতনের জন্য অ্যানেসথেসিয়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে সার্জারির চিকিৎসক ডা. শওকতের সঙ্গে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ডা. ইব্রাহীমের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় বেডে শুইয়ে রাখা রোগীর সামনেই ডা. ইব্রাহীমকে মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে ওটিতে ছুটে যান সিনিয়র চিকিৎসকরা। ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনও ছুটে যান সেখানে। এরপর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খান মো. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন চিকিৎসকরা। এ সময় সার্জারি ইউনিটের সব ওটিই বন্ধ ছিল। চালু ছিল কেবল ইমার্জেন্সি ওটি।
পরে ঢামেক পরিচালক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা একসঙ্গে বসে বিষয়টির সুরাহা করেন। এরপর চিকিৎসকরা নিজের কাজে ফিরে যান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঢামেক অধ্যক্ষ খান মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, রোগীকে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওটিতে ডা. শওকত ও ডা. ইব্রাহীমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় তাদের মধ্যে মৃদু হাতাহাতিও হয়। পরে ঢামেক পরিচালকসহ আমরা একসঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। সবাই কাজে ফিরে গেছেন।
অধ্যক্ষ বলেন, এক মিনিটের জন্যও হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করা যাবে না। কারণ জাতীয় সত্তার পরিচয় হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/