লন্ডন: অ্যাসপিরিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারবে। মানুষ বংশাণুক্রমে যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় সেগুলো প্রতিরোধে অ্যাসপিরিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে এক নতুন এক গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অ্যাসপিরিন মানুষের অন্ত্রের ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বলে দাবি করছেন একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। টানা দুই বছর কেউ যদি দিনে দুটি করে অ্যাসপিরিন খায় তাহলে তার অন্ত্রের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে বলেও দাবি করেছেন ওই বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও জরায়ুর ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতেও অ্যাসপিরিন সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
গবেষণা দলের প্রধান ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসেলের অধ্যাপক স্যার জন বার্ন বলেন, ‘এটা সত্যিই আনন্দের। অ্যাসপিরিনের মধ্যে আমরা ক্যান্সার প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পেয়েছি। ’
অন্যান্য ক্যান্সারের চেয়ে সারাবিশ্বের সাধারণ মানুষদের মধ্যে অন্ত্রে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগির সংখ্যাই বেশি।
দ্য ল্যাঞ্চেট মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় দেখা যায়, দুই বছর টানা প্রতিদিন ৬০০ মিলিগ্রাম অ্যাসপিরিন খেলে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬৩ শতাংশ কমে যায়। অন্যদিকে অন্ত্রের ক্যান্সার নিরোধক অন্যান্য ঔষধ পাঁচ বছর খেলে অন্ত্রের ক্যান্সার ঝুঁকি কমে।
অধ্যাপক বার্ন আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের ত্রিশ হাজার মানুষ যদি নির্ধিদায় ৩০ বছর অ্যাসপিরিন খায়, তাহলে অন্ত্রজনিত ক্যান্সার সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
তবে কিছু চিকিৎসক রোগিদের অ্যাসপিরিন দিতে দ্বিধান্বিত থাকেন। কারণ অ্যাসপিরিনের কারণে পাকস্থলী অথবা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
কিন্তু এই বিষয়ে আবার অধ্যাপক বার্ন বলেন, ‘আমরা যদি দশ হাজার রোগির ক্যান্সার সারতে পারি তাহলে মানুষ নিশ্চই একহাজার আলসার এবং একশত স্ট্রোক মেনে নেবে। বিশেষত যদি এমন কোনো পরিবার হয় যাদের অধিকাংশই ক্যান্সারে আক্রান্ত। ’
তবে কম মাত্রার অ্যাসপিরিনও কি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে কিনা তা এখন গবেষকরা বিশ্লেষণ করে দেখছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১১