বৃহস্পতিবার ( ২১ জুন) সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যোগ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এ দিবসে যোগ প্রদর্শন, গণ যোগ সেশন ও একটি লাকি ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যোগব্যায়াম করলে শরীর ও মন ভালো থাকবে। টেনশন দূর হবে। ঈর্ষা কাতরতা থাকবে না। মানসিক যন্ত্রণা দূর হবে। এসব তথ্য অবশ্য আমি ইন্টারনেট থেকে পেয়েছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে মাদকের হিংস্র ছোবল দেখা দিয়েছে। এই মাদকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারে যোগব্যায়াম।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যোগব্যায়াম নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা এখন বাংলাদেশেও চলে এসেছে। যোগব্যায়ামের ফলে তরুণ ও কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, যোগব্যায়াম ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের নিজস্ব সৃষ্টি। এতে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
ধীরে ধীরে এই ব্যায়ামের জনপ্রিয়তা সারাবিশ্বেই বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ২১ জুন বছরের সবচেয়ে বড় দিন। আর এদিনেই পালিত হচ্ছে যোগদিবস। ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে যোগ দিবস পালন করে আসছে। প্রতিবছরই উপস্থিতি বাড়ছে। আপনাদের এতো বিপুল উপস্থিতি দেখে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আজ দেরাদুনে যোগদিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের এই দেরাদুনেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। সূত্র জানায়, ২০১৫ সাল থেকে ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক যোগদিবস পালন করে আসছে। ২০১৭ সালে প্রায় ৫ হাজার লোক বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এবার আরও বেশি লোক এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক যোগদিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে যোগ সেশনের আয়োজন করা হয়। যোগ সেশন পরিচালনা করেন যোগ প্রশিক্ষক মাম্পী দে । অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের খ্যাতিমান খেলোয়াড়, অভিনেতা, গায়ক ও ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের যোগ অনুষ্ঠানটি ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত । সব অংশগ্রহণকারী বিনামূল্যে যোগ ম্যাট, টি-শার্ট, উপহার সামগ্রী পেয়েছেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে পুরস্কার দেওয়া হয়। এসব পুরস্কারের মধ্যে ছিল একটি টাটা টিয়াগো গাড়ি, একটি বাজাজ মোটরসাইকেল, ভারতে ভ্রমণ প্যাকেজ, দু’জনের দিল্লি ট্রিপ, ঢাকায় পাঁচ তারকা হোটেলে দু’জনের থাকার সুযোগ।
২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক যোগদিবস ঘোষণা দেয়। ভারতের দেওয়া এই প্রস্তাবটি ১৭৫টি রাষ্ট্রের সমর্থনের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে এখন পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাবের প্রতি এটিই ছিল সর্বোচ্চ সংখ্যক রাষ্ট্রের সমর্থনদানের রেকর্ড।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
টিআর/এএটি