ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে ইন্টার্নদের ধর্মঘটে বিপাকে রোগীরা

গণবিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৮
গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে ইন্টার্নদের ধর্মঘটে বিপাকে রোগীরা গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। ছবি: বাংলানিউজ

গণ বিশ্ববিদ্যালয় (সাভার): দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় রোগীরা বিপাকে পড়লেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না মেলায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি চালু রেখেছেন। কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (০৫ জুলাই)  আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে যুক্ত হয়েছেন আরও ৩২জন ট্রেইনি মেডিকেল অফিসার (টিএমও)।

পরে তারা মোট ছয় দফা দাবিতে হাসপাতাল পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লায়লা পারভিন বানু বাংলানিউজকে জানান, ‘আমি জানি না তারা কেন কর্মবিরতিতে রয়েছেন। তাদের বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। এ অবস্থায় যদি তারা আন্দোলন চালিয়ে যান তাহলে তারা অন্যায় করছেন। ’

শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা সেমিস্টার ফি বাড়ানো হলেও ২০১২ সাল থেকে ভাতার পরিমাণ সাড়ে ৪ হাজার টাকা রয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে একজন চিকিৎসক কিভাবে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিয়ে মাস চলবে, তা বারবার বুঝানোর চেষ্টা করা হলেও কর্তৃপক্ষ শুনতে অথবা কোনো ব্যবস্থা নিতে রাজি নন।

প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা, বাধ্যতামূলকভাবে ভাতা থেকে থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ কর্তন না করে শুধুমাত্র যারা হোস্টেলে থাকবেন তারা যেনো আলাদাভাবে পরিশোধ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করাসহ মোট ৬টি দাবি জানান তারা।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের চিকিৎসা সেবা থেকে বিরত থাকবেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। তবে ইমার্জেন্সিতে কোনো রোগী আসলে তাদের সবপ্রকার সেবা নিশ্চিত করছেন তারা।

এদিকে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, নার্সদের সহায়তায় চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। শুক্রবার (০৬ জুলাই) শুক্রবার কোনো মেডিকেল অফিসার থাকবেন না। যদি কালকেও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কর্মে যোগদান না করেন, তাহলে আরও বিপাকে পড়তে পারেন রোগীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।