মঙ্গলবার (১০ জুলাই) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামীকাল (১১ জুলাই) ২৯ তম বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করতে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের বর্তমান দারিদ্র্যসীমা ২০ শতাংশ। আর এই দরিদ্রতা একটি পরিবারের উপর প্রভাব ফেলে। মা অপুষ্টি ও অশিক্ষিত হলে সন্তান অপুষ্টি ও অশিক্ষিত হয়। এছাড়া বর্তমানে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে প্রায় ৮৫ ভাগ শিশু সিজারের মাধ্যমে জন্ম নিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুসারে সিজার ১৫ থেকে ২০ ভাগের বেশি হতে পারবে না। আমাদের সিজারের হার কমিয়ে আনতে হবে। এছাড়া ৬০ ভাগ ডেলিভারি বাসায় হচ্ছে। হাসপাতালে ডেলিভারি ১শ’ শতাংশ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জনসচেতনতাই মুখ্য। আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বর্তমানে সহনীয় পর্যায়ে আছে। প্রতি নারীর গড় সন্তান জন্মের হার ২ দশমিক ১। অথচ সারাবিশ্বে তা ২ দশমিক ৫। এক্ষেত্রে আমরা সফল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিনসহ পরিবার পরকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার (১১ জুলাই) ২৯ তম বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে শোভাযাত্রা এবং ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় উদ্বোধন অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া সারাদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সেমিনার ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এমএএম/আরআর