এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাসের প্রায় ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৪ লাখ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক স্বপন ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা একইসঙ্গে শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পর থেকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে। এই ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে শিশু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়।
‘তবে শুধু রাতকানা রোগ থেকেই নয়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুদের আরো বহুবিধ উপকার করে। এর মধ্যে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ’
ডা. জাহিদ মালেক বলেন, শনিবার দেশজুড়ে এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত আরো ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রতিটি ক্যাম্পে কমপক্ষে দুইজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।
‘বিশ্বের আর কোনো দেশে এত সংখ্যক শিশুকে এক সঙ্গে এভাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় না। এই ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলায়, জেলায় ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
জেডএস