গবেষণায় দেখা যায়, ভ্যাপিং বা ই-সিগারেট ব্যবহারের ফলে ফুসফুসের রোগপ্রতিরোধকারী কোষ অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
গবেষণাটি পরিচালনা করেন বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর ডেভিড থিকেট, আর তা প্রকাশ করে ‘থোরাক্স’ জার্নাল।
এর আগে ই-সিগারেট নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, সেগুলো ছিল এর মধ্যকার তরল রাসায়নিক মিশ্রণটি নিয়ে। এবারের গবেষণায় ৮ জন অধূমপায়ীর ফুসফুসের টিস্যুর নমুনাতে অনুমাননির্ভর পরীক্ষা চালানো হয়।
দেখা যায়, ভ্যাপিঙের ফলে ‘alveolar macrophages’ বা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর ধূলিকণা, ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জি প্রতিরোধকারী কোষের কার্যকলাপ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। গবেষকরা বলেন, নিয়মিত স্মোকার ও দীর্ঘকালস্থায়ী ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও একইরকম লক্ষণ দেখা দেয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে ‘পাবলিক হেলথ্ ইংল্যান্ডে’ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়, প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট অনেক নিরাপদ এবং সবার জন্য সহজলভ্য করা উচিত।
এদিকে প্রফেসর থিকেট বলেন, ই-সিগারেট প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় নিরাপদ হলেও এর ক্ষতিকর দিক ব্যাপক। এতে হয়তো ক্যানসারের ঝুঁকি কম। কিন্তু আপনি ২০ অথবা ৩০ বছর ধরে ই-সিগারেট ব্যবহারে ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী রোগ হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এনএইচটি/এএ