অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত ডায়াবেটিক শিশুদের চক্ষুসেবার সমন্বিত পদক্ষেপের পারম্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় সংক্রান্ত আলোচনায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালী ব্রাক ইন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্প মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিক শিশুদের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির শিশু অন্ধত্ব প্রতিরোধ প্রোগ্রামের সহযোগিতায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি পরিচালিত দেড়বছর ব্যাপী প্রজেক্টের মাধ্যমে বারডেম ঢাকা ও বগুড়া হাসপাতালে ইতিমধ্যে ৭ সহস্রাধিক চক্ষু রোগীদের সমন্বিত সেবা দেয়া হয়। এরমধ্যে ৩ সহস্রাধিকই ডায়াবেটিক শিশু।
অনুষ্ঠানে এশিয়া-প্যাসিফিক অপথামোলজি একাডেমির ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের বিশিষ্ট চক্ষু ডাক্তার প্রফেসর ডা. আভা হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. সাইফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের রিসার্চ ডিরেক্টর ড. নাথান জি কংডন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. জাফর খালেদ, ইউএসএআইডি ঢাকা অফিসের হেলথ সার্ভিস ডেলিভারি পিলার লিড এডনা জোনাস এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ। মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ড. নওশাদ ফায়েজ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শিশুদের ডায়াবেটিকজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সেন্টারের সহযোহিতায় আরো সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র, ডাক্তার-নার্স-মেডিকেল অ্যাসোসিয়েটদেরসহ সংশ্লিস্টদের আরো সমন্তিত ট্রেনিং প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করার তাগিদ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
টিআর/এমজেএফ