মন্ত্রী বলেন, নবজাতকের মৃত্যুহারের দিক থেকে শ্রীলংকার পর বাংলাদেশের অবস্থান। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতি হাজারে ৩০ জন নবজাতক মৃত্যুবরণ করছে।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশব্যাপী জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো। এই উন্নতির ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক অবদান রেখেছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার আমরা কমিয়েছি। এমনকি রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে।
দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ১০০ বছর পর দেশে কি হবে তার পরিকল্পনাও প্রধানমন্ত্রী করেছেন। এবং সে অনুসারে তিনি তার কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছেন। তবে এই সফলতা বজায় রাখতে বর্তমান সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ চিকিৎসক চেয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছে। আমরা দিয়েছি। তবে এখনও আমরা সংকটের মধ্যে আছি। আশা করছি স্বাস্থ্যখাতে নভেম্বর মাসের মধ্যে এ সব সংকট দূর হবে। আমরা ১০ হাজার নার্স, ১২০০ মিডওয়াইফ, ৭ হাজার চিকিৎসক দিয়েছি। আরো ১০ হাজার ডাক্তার আমরা খুব দ্রুত নিয়োগ দেবো পিএসসির মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বেলুন উড়িয়ে মন্ত্রী দেশব্যাপী জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এএইচএম এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. সুলতান মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শরীফ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রণব কুমার নিয়োগী, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এমএএম/এএ