আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন বিষয়ে সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আগামী ৫ অক্টোবর সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত পরিদর্শক বা কর্মকর্তা কোনো মোবাইল ফোন নিতে পারবেন না। তবে কেন্দ্রের ভেতরে যোগাযোগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি অ্যানালগ মোবাইল ফোন সরবরাহ করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সর্বোচ্চ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অভিভাবক, ছাত্রসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে পরীক্ষাগুলো শতভাগ গ্রহণযোগ্য হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। এবারের পরীক্ষা আরো নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এ সময় পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়ে ভুয়া বা প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কোনো রকমের গুজবে কান না দিতে অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাসিম।
তিনি বলেন, এবারের পরীক্ষায় অন্যবারের তুলনায় আরো আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, আরো কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। যাতে কোনো দুর্বলতার সুযোগ থাকবে না।
‘সরকার ১০ বছর পর এবার সরকারি মেডিকেল কলেজে আরো ৭৫০ আসন বেড়েছে। ফলে গতবারের তুলনায় এবার বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে এবং মেধাবীরাই ভর্তি হতে পারবে। ’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার সরকারি কলেজে ৪ হাজার ৬৮টি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৭৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। গত ৩১ আগস্ট থেকে অনলাইনে শুরু হওয়া ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদনপত্র থেকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সভার শুরুতে ওভারসাইট কমিটির (মেডিকল কলেজ ভর্তি কমিটি) সদস্য প্রয়াত সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তার জায়গায় নতুন সদস্য হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম।
সভায় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ-এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আবদুল কাইয়ুমসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এমএএম/এমএ