এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে আগাম সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালের ২০ নভেম্বর তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনর আব্দুল মোনেম খান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে ওই তিন দিনব্যাপী কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়াও বরিশাল জুড়ে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোল্ডেন জুবিলি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
গত বুধবার রাতে জাতীয় সংসদের শেবাচিমের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. আকতার মোরশেদ, অধ্যক্ষ ও প্রফেসর ডা. টিআইএমএ ফারুক, বরিশাল স্বাচিপের সভাপতি এবং বিএমএর কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. মু. কামরুল হাসান সেলিম ও বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. সারফুদ্দিন আহম্মেদ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নাসিম, বরিশালের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মন্ত্রী আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ দেশ বরণ্য বিশেষজ্ঞ খ্যাতনামা চিকিৎসকদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন এমন বিষয়টি উল্লেখ করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন সব ছাত্রছাত্রীকে আগামী ৭, ৮ ও ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠানের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ভাস্কর সাহা, হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন, বিএমএ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ডা. মো. ইসতিয়াক হোসেন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. এসএম সারওয়ারসহ কমিটির নেতারা।
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে ৬ নভেম্বর তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনর আব্দুল মোনেম খান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। ১৯৬৮ সালের ২০ নভেম্বর তিনিই এ কলেজের উদ্বোধন করেন। বরিশাল নগরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত কলেজে রংপুরের লুৎফর রহমানকে ভর্তির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের পদচারণা শুরু হয়। তখন মাত্র ৫৬টি আসনের বিপরীতে প্রতিবর্ষে ভর্তির সুযোগ পেতো শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে ১৯৭ আসন সংখ্যার এই কলেজে ১টি একাডেমিক ভবন, বৃহত্তর অডিটোরিয়াম, আধুনিক মরচুয়ারি ভবন, ৩টি ছাত্রাবাস, ২টি ছাত্রী নিবাস, ২টি ইন্টার্নি ডক্টরস হোস্টেল রয়েছে।
এছাড়া পুরো কম্পাউন্ডে একটি হাসপাতাল (১০০০ শয্যা বিশিষ্ট), ২টি ইন্টার্নি ডক্টরস হোস্টেল, আবাসন ব্যবস্থাসহ ১টি নার্সিং কলেজ, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণিসহ নার্সিং ও ডক্টরস কোয়ার্টার, ১টি সেন্ট্রাল মসজিদ, খেলার মাঠ, বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এখান পোস্ট-গ্রাজুয়েশন কোর্সও রয়েছে (এমডি, এমফিল, এমএস, ডিপ্লোমা)।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
এমএস/আরবি/