অন্যদিকে গরমের কারণে ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ছোট ছোট খাল-বিল শুকিয়ে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় বৃষ্টির অপেক্ষা করছেন সবাই।
এদিকে শুক্রবার ভোলায় দিনের তাপমাত্রা ছিলো ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুব শিগগিরই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী মাহাবুব রহমান জানান, বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার তাপমাত্রা আরো এক ডিগ্রি বেড়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা ৩৫/৩৪ ডিগ্রিতে ওঠা-নামা করছে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
হঠাৎ করেই গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। অনেকেই গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
ভোলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. তৈয়বুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গরমের কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে, তবে হাসপাতালে পর্যপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে।
সদরের চরকালী গ্রামের জামাল হোসেন বলেন, তীব্র গরমে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না তাই বাধ্য হয়ে নিজেই ক্ষেতে ওষুধ দিতে নেমে পড়েছি।
আবুল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম পড়ছে। বৃষ্টি না হলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাছাড়া ক্ষেত খামারে কাজের লোকেরও সংকট দেখা দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
আরএ