এর প্রতিবাদে রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সামনে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে প্রতীকী অনশন করে অনিয়মিত ৬৮ জন কর্মচারী। পরে বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা কাজে ফিরে যান।
এদিকে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনিয়মিত ৬৮ জন কর্মচারী একটি কমিটি গঠন করে।
এ কমিটির সদস্য মো. জীবন মিয়া বাংলানিউজ জানান, ২০০৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিনা বেতনে অনিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিয়ে এসেছি। কিন্তু বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ বার বার আশ্বাস দিলেও চাকরি স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না।
তিনি জানান, অনিয়মিত কর্মচারীরা রোগীদের সেবা দিয়ে তাদের স্বজনদের বকশিশ পেয়ে কোনো মতে পরিবার নিয়ে দিন পার করেছি। শুধু একটি আশায়, চাকরি স্থায়ীকরণ হবে।
তিনি আরও জানান, প্রতীকী অনশন চলাকালে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন, অধ্যাপক আবুল কালাম ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন স্যার এসে অনিয়মিত কর্মচারীদের প্রতীকী অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে তাদের অনুরোধে কর্মচারীরা অনশন ভাঙে কাজে যোগ দেন।
অনিয়মিত কর্মচারীরা জানান, আগামী বৃহস্পতিবারের (৪ অক্টোবর) মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস না পেলে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসার আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, অনিয়মিত কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক। এ বিষয়ে আমরা আগেও আলাপ করেছি। আজও মন্ত্রণালয়ে আলাপ করেছি। আশা রাখি কিছু একটা হবে, তবে সময় লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এজেডএস/আরআইএস/