স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১শ নম্বরের নৈব্যর্ক্তিক প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৬৫ হাজার ৯১৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। অন্যথায় তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে যে ধরনের নির্দেশনা রয়েছে, সেটি পালন না করলে তাদের কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব প্রতিরোধে পরীক্ষার আগের দিন রাতে অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হতে পারে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে আলাপকালে এ প্রস্তাবনা আসে। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থ্রিজি ও ফোরজি বন্ধ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে ঠিক কখন থেকে এটি কার্যকর হবে তা তিনি জানেন না।
তিনি জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সর্বাত্মক প্রস্তুতি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর চারটি মেডিকেল ও একটি ডেন্টাল কলেজের (ঢাকা, স্যার সলিমুল্লাহ, সোহরাওয়ার্দী, মুগদা মেডিকেল ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজ) ৯টি ভেন্যু ও ঢাকার বাইরের ১৪টি মেডিকেলের ১০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, ১৯ কেন্দ্রের ২৭ ভেন্যুতে পরীক্ষার হল পরিদর্শনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৮০ কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়েও ১১ সদস্যের আলাদা একটি ওভারসাইট কমিটি রয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের পরামর্শ দিয়ে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে বিটিআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এমএএম/এএ