রোববার (০৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত চিকিৎসক সম্মেলন-২০১৮ ও বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখানে একটা দুঃখের কথা বলতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি, কিন্তু সেখানে আমরা ডাক্তার পাই না। নিয়োগও আমরা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কেন এই অবহেলা মানুষের প্রতি। এটা নিশ্চিয়ই মানুষ আকাঙ্ক্ষা করে না। সেটা আমি আপনাদের ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করবো।
মানুষের সেবা করাটা সর্বপ্রথম কতর্ব্য উল্লেখ করে চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবাটা নিশ্চিত করতে হবে। সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেবেন বলে আমি আশা করি।
তৃণমূলে চিকিৎসকদের আবাসন সমস্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বলেন, একটা অসুবিধা আছে সেখানে, সেটা হলো- থাকার অসুবিধা। সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিটি উপজেলায় আমরা বহুতল বিশিষ্ট ফ্লাট তৈরি করে দেব। যারাই যাবে তারা যেন ভাড়া থাকতে পারেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজকে উন্নতমানের হাসপাতাল হিসেবে নতুন করে নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে শত বছরের পুরোনো বিল্ডিং, কেউ কেউ এটাকে হেরিটেজ বলেন। কিন্তু হেরিটেজ মাথায় ভেঙে পড়লে কী হবে সেটা আর কেউ ভাবে না।
‘আমি নতুন প্ল্যান তৈরি করেছি। অত্যন্ত আধুনিক মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল আমরা নির্মাণ করে দেব। ইতোমধ্যে আমরা শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। নতুন হাসপাতাল হলে এই শয্যা সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমরা ১০ বছর পার করছি। এর আগে ছিলাম ৫ বছর। বাংলাদেশের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। ক্ষমতাকে আমরা হাতে নিয়েছি এই চিন্তা থেকে যে, জনগণের সেবা করা আমার কর্তব্য, আমার দায়িত্ব। নিজেরা কী পেলাম, না পেলাম সে চিন্তা করি না। চিন্তা একটাই মানুষকে কতটুকু দিতে পারলাম।
চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের উন্নত প্রশিক্ষণের গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণটা একান্তভাবে প্রয়োজন। মানুষকে ভালোভাবে ট্রেনিং দিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে চাই।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ফলাফলে দেখলাম মেয়েরা ভালো করেছে। ছেলেদের আরো বেশি পড়াশোনার দিকে নজর দেয়া দরকার। যাতে অন্তত সমান সমান হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ, হাসপাতাল নির্মাণসহ স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৮
এমইউএম/এমজেএফ