বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়ার্ল্ড লিংকআপের আয়োজনে সোমবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের সামনে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।
এ প্রদর্শনী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার ও এর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, অসুখ সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটিকে মুরগি ও গরুর ওপর নির্বিচারে প্রয়োগ করা হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের এই অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত ব্যবহারে মাংসজাতীয় খাদ্য ভোক্তার জন্য বিষে পরিণত হচ্ছে। এ ছাড়া বেশিরভাগ রোগীর রোগের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে তারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে না গিয়ে যান ফার্মেসিতে। সেই দোকানদারই রোগীকে দেখেশুনে তার অভিজ্ঞতার আলোকে অনেক সময় সরাসরি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেন। রোগী আবার কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে রোগ একটু সারলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স শেষ না করে অর্ধেকে বন্ধ করে দেওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘মূলত অ্যান্টিবায়োটিক জীবিত ব্যাকটেরিয়া তথা অণুজীবের বিপরীত কাজ করে। যেসব রোগ সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়, তা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। এজন্যই ভাইরাসজনিত রোগের বিপরীতে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর নয়। তাই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের তুলনায় মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। তাই তারা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার ও এর ঝুঁকি সম্পর্কে ভালভাবে অবগত নয়। এই প্রদর্শনী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি করবে।
সংগঠনের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াটা অত্যন্ত উদ্বেগের। তাই এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
আরএ