বুধবার (১৭ অক্টোবর) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে স্যালাইন সংকটের এই চিত্র দেখা যায়। অবশ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, টেন্ডারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের ২০০ ওয়ার্ডের ২৫ নং বেডে চিকিৎসাধীন চুন্নু মিয়া। তার স্ত্রী হাসিনা বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই দেখছেন আমার স্বামীকে যে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে, সেটা বাইরে থেকে কিনে এনেছি। হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে আপাতত স্যালাইন সাপ্লাই নেই। অথচ প্রতিদিন তার দু’টি করে এক হাজার এমএল স্যালাইন লাগে। তাই বাইরে থেকেই আনতে হচ্ছে। ’
একই বিভাগের ১০০ নং ওয়ার্ডে ব্রেনস্ট্রোকজনিত কারণে চিকিৎসাধীন নজরুল ইসলামের মেয়েজামাই সাইদুল বাশার বাংলানিউজকে জানান, সপ্তাহখানেকের ওপরে চিকিৎসাধীন আছেন তার শ্বশুর। ভর্তির পর থেকে যত স্যালাইন নজরুলকে দেওয়া হয়েছে, সবই বাইরে থেকে কিনে এনে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ অস্ত্রোপচার কক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র স্টাফ নার্স বাংলানিউজকে বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন যাবত নরমাল ও হার্টসল স্যালাইন না থাকার কারণে রোগীর লোকজনই বাইরে থেকে তা কিনে আনছেন। তবে আজ কয়েকটি নরমাল স্যালাইন জরুরি রোগীর জন্য পাওয়া গেছে। ’
নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. অসিত চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত কোনো রোগী আমাদের কাছে এলেই তাকে প্রথমেই নরমাল স্যালাইন অথবা হার্টসল স্যালাইন দেওয়া হয়। রক্তক্ষরণের কারণে রোগী দুর্বল হয়ে যায়। দ্রুত স্টেবল করার জন্য রোগীকে প্রথমেই স্যালাইন দেওয়া হয়।
তিনি স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, কিছু কিছু স্যালাইন রোগীর লোকজনই কিনে আনছে।
স্যালাইন সরবরাহে দায়িত্বপ্রাপ্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে অবস্থিত মেডিকেল স্টোরের একটি সূত্র জানায়, প্রতিদিন হাসপাতালে রোগীদের জন্য দুই হাজারের মতো স্যালাইন প্রয়োজন হয়। সাপ্লাই না থাকায় বুধবার জরুরি বিভাগের অস্ত্রোপচার কক্ষে ৫০টি স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, যারা টেন্ডার পেয়েছে তারা সাপ্লাই দিতে একটু দেরি করছে। আশা করি দু’একদিনের মধ্যেই স্যালাইন সংকট দূর হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/