শনিবার (২০ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক, কান, গলা (ইএনটি) বিভাগের হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি অংশের উদ্যোগে ওরাল ক্যান্সারের (মুখ গহব্বরের ক্যান্সার) ওপর দুইদিন ব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিন প্রথম দিনে বক্তারা বলেন, দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩৫ শতাংশই হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারে আক্রান্ত। এদের মধ্যে আবার ৩৭ শতাংশই মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত। মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করতে পারলে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে রোগের বিস্তার ঘটলে এর চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন এবং ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।
বর্তমানে বিএসএমএমইউ’তে বিভিন্ন ধরনের হেড-নেক ক্যান্সারের আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা করা হয় বলেও জানান বক্তারা।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইএনটি বিভাগের চেয়ারম্যান হেড-নেক সার্জন অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক ও হেড-নেক সার্জন অধ্যাপক ডা. অনিল কে. ডি ক্রুজ।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৩০০ জন হেড নেক সার্জন অংশ নেন। এছাড়া ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের থেকে প্রখ্যাত হেড-নেক সার্জনরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। তারা দেশীয় সার্জনদের জন্য কর্মশালার দু’দিনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বড় পর্দায় দু’টি লাইভ সার্জারি প্রদর্শন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এমএএম/জিপি