মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় হাসপাতালটির কনফারেন্স রুমে সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলমের উপস্থিতিতে প্রত্যেকের হাতে এ ক্ষতিপূরণের চেক তুলে নেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইম্প্যাক্ট জীবন মেলার প্রশাসক ডা. সাইফুল ইমাম, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. আরেফা নাসরিন, গাইনি কনসালটেন্ট ডা. সাহিদা খাতুন, মেডিকেল অফিসার পারভীন ইয়াসমিন ও ফাইন্যান্স ম্যানেজার মনজুরুল ইসলাম।
সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক চোখ হারানো ১৭ জনসহ মোট ২০ জনের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যতদিন বেঁচে থাকবেন চোখ সংক্রান্ত সব চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দিবে ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালত ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫ লাখ টাকা ও ওষুধ কোম্পানি আইরিশকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলো। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৫ লাখ টাকা করে দিয়েছে। তবে জানতে পেরেছি ওষধু কোম্পানি আপিল করেছে।
গত ৪ মার্চ চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষুশিবিরে চোখের ছানি অপারেশন করার পর ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন রোগীর একটি করে চোখ নষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতালটির চক্ষু সংক্রান্ত সব সেবা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
পরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত রিট করেন, যার ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১ এপ্রিল হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়সহ কয়েকটি বিষয়ে রুল দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট এই রায় দেন। ২০ জনের মধ্যে একটি করে চোখ নষ্ট হওয়া ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই অর্থ এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে ইম্প্যাক্ট ও আইরিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
জিপি