ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চিকিৎসা সেবার নামে বাণিজ্য বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
চিকিৎসা সেবার নামে বাণিজ্য বন্ধের দাবি

ঢাকা: দেশে চিকিৎসা সেবার নামে বাণিজ্য বন্ধের দাবি জানিয়েছে নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) নামের একটি সংগঠন।

শনিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।

কিন্তু সরকারি পর্যায়ে সে ব্যবস্থা অপ্রতুল। এজন্য দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ সেবা ও মানবিকতা ভুলে চিকিৎসার নামে বাণিজ্য শুরু করেছে। এ সুযোগ নিয়ে অনেকে পড়াশোনা না করেও ডাক্তার সেজে চেম্বার দিয়ে বসে আছে। সেজন্য অনেক সময় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়।  

বক্তারা আরও বলেন, সারাদেশের আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এদের অধিকাংশেরই নেই কোনো সরকারি অনুমোদন। কেউ কেউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই করছেন হাসপাতালে ব্যবসা, ভাড়া করছেন চিকিৎসকদের। এসব স্থানে ব্যাপক হারে চলছে চিকিৎসা সেবার নামে বাণিজ্য। যেখানে চিকিৎসক ও মালিকরা চিকিৎসা দেওয়ার পরিবর্তে উপার্জনকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

নিচিচার সভাপতি যুবরাজ খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে সালমা, শহিদুল ইসলাম সাজু, আমির হোসেন, রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।

মানববন্ধনে চিকিৎসার নামে বাণিজ্য বন্ধ করাসহ বেশ কিছু দাবি উপস্থাপন করা হয়। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত সব মানুষকে চিকিৎসা কার্ড দিতে হবে; এই কার্ডের মাধ্যমে সব সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা বিনামূল্যে দিতে হবে; চিকিৎসক-নার্সসহ চিকিৎসাসেবায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে; সরকারি হাসপাতালে দালাল প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে; সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে তাদের জন্য নন প্র্যাকটিসিং অ্যালাওন্সের ব্যবস্থা করতে হবে; চিকিৎসা ক্ষেত্রে টেস্ট বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে; সরকারি চিকিৎসকদের কর্মস্থলে বসবাস করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে; স্বাস্থ্য বাজেটে জিডিপি ২ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে; পরিপূর্ণ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা আইন প্রণয়ন করতে হবে; পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ এবং ওষুধের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য আইন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এমএএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।