আটতলা বিশিষ্ট এই ভবনে উপর নিচে দ্রুত যাতায়াত ও রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে রয়েছে অত্যাধুনিক দু’টি লিফট। কিন্তু ঘনঘন লিফটগুলো নষ্ট হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
এতে করে সাধারণ মানুষ হাসপাতালের সিঁড়িতে করে ওঠানামা করলেও চরম বিপাকে পড়েছেন গুরুতর আহত রোগীরা। অপরদিকে যেকোনো সময়ে অন্য লিফটি বিকল হয়ে গেলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না রোগীদের। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বিকল হওয়া লিফটটি সচল করা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের অষ্টম তলায় ভর্তি থাকা আফিফুন নাহার নামে এক রোগীর স্বজন বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর বেশির ভাগই ওই নতুন ভবনে। রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ বিভিন্ন কাজে নিচে যাতায়াত করতে হয়। এতে করে লিফটের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। বারবার সিঁড়িতে ওঠানামা করাটাও বেশ কষ্টের।
ফয়সাল আহমেদ নামে এক রোগী জানান, হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক ও অন্যান্য স্টাফদের জন্য ওই লিফটে ওঠানামা করা যায় না। স্টাফদের অগ্রাধিকার থাকায় লিফটে ওঠানামা করতে গেলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়। অতি দ্রুত বিকল হয়ে যাওয়া লিফটটি সচল করার দাবি জানান তিনি।
সচল লিফটের দায়িত্বে থাকা কর্মী পলাশ মাহমুদ জানান, তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অপর পাশের লিফটটি বিকল। এতে করে একটি লিফটে প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। মাঝে মাঝে ওভারলোড হয়ে যায়। এ সময় কাউকে নামতে বললে তর্ক-বিতর্কের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দুই মাস আগেও লিফট দুইটিতে মেরামত কাজ করানো হয়। প্রায় ২০ দিন ধরে জেলা হাসপাতালের নতুন ভবনের পূর্ব পাশের লিফটটি ফের বিকল হয়ে আছে। লিফটটি সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
হাসপাতালে স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, দু’টি লিফটের মধ্যে একটি অচল থাকায় রোগী ও তাদের স্বজনদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিকল হয়ে থাকা লিফটের মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হবে বলেও অশ্বস্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
কেএসএইচ/জেডএস