ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পঞ্চগড়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
পঞ্চগড়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ১১ দিনে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৭০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে।

নভেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত ১০০ শয্যার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রায় ৩শ’র বেশি শিশু ডায়রিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তঃবিভাগে ভর্তি হয়েছে। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে চলে গেছে আরো প্রায় ২শ’ জন।

বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছে প্রায় ২শ’ জন। এ অবস্থায় বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল বেডে জায়গা না হওয়ায় শিশু ওয়ার্ডের মেঝেতেও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

চিকিৎসকরা জানান, ঋতু পরিবর্তন, অপরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধ পানিসহ শিশুদের সঠিক যত্ন না নেয়ার কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্তঃবিভাগে ভর্তি হওয়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা অধিকাংশই দুর্গম এলাকার। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া পঞ্চগড়ে শীতের শুরুতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও জ্বরসহ বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।  

পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল শিশু কনসালটেন্ট ডা. মোস্তাকিম বাংলানিউজকে জানান, 'আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হঠাৎ পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে, এর মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই শিশু। ঠাণ্ডাজনিত যে কোনো রোগে আক্রান্ত হবার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক।

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, 'আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হঠাৎ পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে শিশু ও রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ রোগীদের মধ্যে ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি এবং ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। শীত থেকে রক্ষা পেতে গরম খাবার ও গরম পোশাক পরিধান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বাচ্চারা অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ‍

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।