ডায়াবেটিসের কথা শুনেননি, এমন মানুষ বাংলাদেশে খূঁজে পাওয়া দুস্কর। আমাদেও চারপাশে পরিচিতজনদেও মাঝে কেউ না কেউ ডায়াবেটিসের রোগী।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য জাতিসংঘ প্রস্তাবনা ৬১/২২৫ একটি আন্তর্জাতিক কর্মসূচি সৃষ্টি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস মোকাবেলায় শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রয়াসই যথেষ্ট নয়। এর জন্য দরকার সামাজিক আন্দোলন এবং রাষ্ট্রীয় সমর্থন। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেইসবুক, টুইটার ইত্যাদি বেশ ভাল ভূমিকা রাখতে পারে।
যেহেতু ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, তাই সুস্থ থাকতে হলে প্রয়োজন গভীর পর্যবেক্ষণ ও নিজের যতœ নেয়া। রক্তে গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা বেশি হলে শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব জটিলতাকে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো- হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর সমস্যা, কিডনি সমস্যা, স্নাযুর সমস্যা এবং চোখের সমস্যা।
হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর সমস্যা: ডায়াবেটিসের সাথে এসমস্যাগুলো ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। ডায়াবেটিস জটিলতায় হার্ট এটাক ও স্ট্রোক হতে পারে।
কিডনি সমস্যা: কিডনির অক্ষমতা ও বৈকল্য দেখা দেয়। কেননা অতিরিক্ত গ্লুকোজযুক্ত রক্ত কিডনির কাজের উপর চাপ বাড়ায়। পরববর্তীতে কিডনির সমস্যা হলে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয়।
স্নাযুর সমস্যা: ডায়াবেটিস এমনই ঘাতক যে, এর কারণে স্নায়ু অসাড় হয়ে পুরো অঙ্গটি অকার্যক্ষম হয়ে যেতে পারে। পায়ে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। এর কারণে অনেকক্ষেত্রে পুরো পা কেটে ফেলতে হয়, যা এম্পুটেশন নামে পরিচিত।
চোখের সমস্যা: ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি নাামে সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণে দৃষ্টি বিচ্যুতি তেকে শুরু করে অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে।
ডায়াবেটিক ঘা: ডায়াবেটিসে গ্লুকোজ বা চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এজন্য শরীরের কোনস্থানে কাটা গেলে সে ক্ষত বা ঘা শুকোতে বেশ সময় লাগে। এজন্য রোগীকে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়।
তাই, ডায়াবেটিকের জটিলতা থেকে বাচঁতে ড্রাগ, ডায়েট এন্ড ডিসিপ্লিন মূলনীতি মেনে চলতে হবে। আর এমূলনীতির মাধ্যমে বলা হয়েছে, নিয়মিত ওষুধ সেবন, খাবার গ্রহনে সতর্কতা- চিনি জাতীয় খাবার কম খাওয়া এবং সামগ্রিক জীবনে শৃংখলা অত্যাবশ্যক। আর নিজের ডায়াবেটিস না থাকলেও আশেপাশের কারো যদি এ রোগ থাকে তাকে সতর্ক করাও জরুরী।