পাশাপাশি দেশে ধূমপান ও তামাককে নিরুৎসাহিত করতে সামগ্রিকভাবে চাহিদা ও সরবরাহ কমানোর উদ্যোগ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘তামাকের উপর আরোপিত সারচার্জ ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার খসড়া এরইমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণয়ন করেছে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তামাক ও ধূমপান অনেক অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে জটিল রূপ নেয়।
সরকার অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে যেসব কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে সেগুলোকে সফল করতে হলে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার কমানোর উপর জোরদার পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি ধূমপান ও তামাকবিরোধী প্রচার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। সচিবালয়কে সম্পূর্ণরূপে ধূমপানমুক্ত করতে এর ভেতরে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ স্বাস্থ্য, অর্থ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, কৃষি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমএএম/জেডএস