তিনি বলেন, কোনো শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে এবং কোনো ধরনের গুজব রটানো যাতে না হয়, সেদিকেও খেয়াল লক্ষ্য রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন ২য় রাউন্ড উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আরিফ বলেন, শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘স্বাস্থ্য কার্ড’ হেলথ কার্ড চালু করা হচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে সুরক্ষায় রাখতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম অবস্থায় নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের স্কুলগামী ৬৭ হাজার শিশুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে নবজাতক থেকে শুরু হবে হেলথ কার্ড দেওয়া। এতে করে শিশুর শরীরে রোগ বালাই আছে কিনা, তা আগাম জানা যাবে। বিশেষ করে নগরের কলোনীগুলোর শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আনা হবে। এ জন্য চিকিৎসকদের প্রচারণাও চালানো হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সচিব বদরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের কারণে এবার সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো পিছিয়েছে। চলতি মাসের ৯ ফেব্রুয়ারি ২৭টি ওয়ার্ডের ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭২১ জনসংখ্যার মধ্যে ৬২ হাজার ৬৪১ জন শিশুকে ২৪৭টি কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৬ হাজার ৭০ জন স্বাভাবিক ও ৮ জন প্রতিবন্ধী শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫৬ হাজার ৪৮৩ জন স্বাভাবিক শিশু ও এই বয়সের ৮০ জন প্রতিবন্দ্বী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা, বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৪৯৪ জন স্বাস্থকর্মী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুলখাওয়াবেন। ক্যাম্পেইন চলাকালে সার্বক্ষণিক তদারককারী থাকবেন ৫৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এনইউ/এএটি