ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু বিএসএমএমইউ'র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ার ইডিসিএফ-এর অর্থায়নে নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য ফাউন্ডেশনসহ কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ভবনের পিলারে কংক্রিট ঢেলে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।  

নির্মাণাধীন ১৩তলা বিশিষ্ট ১০০০ শয্যার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির আয়তন প্রায় ৫০,০০০ বর্গমিটার।

৩০ মাসের মধ্যে এ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
 
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএসএমএমইউ’র  অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ার ইডিসিএফ-এর অর্থায়নে নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবার প্রতি মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ বাস্তবতায় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ যথার্থ ও অত্যন্ত সময়পোযোগী। বাংলাদেশে এ ধরণের হাসপাতাল এই প্রথম।  

১৩তলা হাসপাতাল ভবনটিতে থাকবে ১০০০ শয্যা। দেশে প্রথম সেন্টার বেইজড চিকিৎসাসেবা চালু হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিতে। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশে সেন্টার বেইজড চিকিৎসাসেবা পদ্ধতির মাধ্যমে এ ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান উপাচর্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
 
নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হুন্দাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির ম্যানেজার ডে ইয়ংলি, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সানজিনে’র পরামর্শক জাংগ হো বিন, প্রকল্পের উপ-পরিচালক সহকারী অধ্যাপক ডা.  মো. নূর ই এলাহী প্রমুখ।

নবনির্মিত হাসপাতাল ভবনের প্রথম ফেজে থাকবে স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল কেয়ার সেন্টারসহ অন্যান্য সেন্টারসমূহ। দ্বিতীয় ফেজে থাকবে জেনারেল সার্জারি, অফথালমোলজি/ডেন্টিস্ট্রি/ডার্মাটোলজি সেন্টারসহ অন্যান্য সেন্টারসমূহ।  

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাখা হবে রোগীবান্ধব সবুজ আরোগ্য উদ্যানসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সুবিধা। সুপরিসর হাসপাতালে বর্হিবিভাগ ও তথ্য কেন্দ্র থাকলেও হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু থাকবে। এর মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। রোগ নির্ণয়ের সর্বাধুনিক সুবিধাসহ থাকবে লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধা। এখানে প্রতিদিন বর্হিবিভাগে সেবা গ্রহণ করবে ২০০০-৪০০০ রোগী।  

হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে প্রতিবছর প্রায় ২২০০০ রোগী স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এর ফলে প্রতিবছর দেশের বাইরে চলে যাওয়া ৩০০-৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।