সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে সিভিল সার্জনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
সিভিল সার্জন বলেন, রোগের কারণ অনুসন্ধানে আইইডিসিআর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন।
রোগের কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, মৃত ব্যক্তিদের সবার জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি ও মস্তিষ্কে ইনফেকশনের (এনসেফালাইটিস) উপসর্গ ছিল। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় এবং ওই নমুনায় নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। বিভিন্ন সময়ে মৃত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি এবং তাদের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে আইইডিসিআর।
বাদুড়ের খাওয়া খেঁজুরের কাঁচা রসের মাধ্যমে ও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শিশু বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শাহজাহান নেওয়াজ, মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. তোজাম্মেল হক প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নে ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামে আবু তাহের (৫৫) জামাতা হাবিবুর রহমান ছুটু (৩৫), স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে ইউসুফ আলী (২৭) ও মেহেদী হাসান (২৪) নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এনটি