ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মা-শিশুর মৃত্যুহার কমাতে সচেতনতার আহ্বান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
মা-শিশুর মৃত্যুহার কমাতে সচেতনতার আহ্বান বক্তব্য দিচ্ছেন মেহের আফরোজ চুমকি-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: নারীর জন্য রিপ্রডাকটিভ হেলথ (প্রজনন স্বাস্থ্য) অত্যন্ত জরুরি, অত্যন্ত প্রয়োজন। যেটাকে সব সময় আমরা রাখঢাক করে রাখার চেষ্টা করছি। অথচ সে জায়গাটি না থাকলে চিন্তা করেন এ সৃষ্টি, পৃথিবী কী করে এগিয়ে যেত? আমরা যদি সুন্দর শিশু জন্ম দিতে চাই, সুন্দর পৃথিবী গড়তে চাই আমাদের রিপ্রডাকটিভ হেলথ সম্পর্কে জানতে হবে।

রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন নারী ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি।

এসময় মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে রাখঢাক না রেখে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একইসঙ্গে শিশু মৃত্যু ও মা মৃত্যুর হার কমাতে হলে রিপ্রডাকটিভ হেলথ সম্পর্কে জানতে হবে, জানাতে হবে।

শিক্ষা, অর্থ ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার নারীর অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে দাবি করে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, সব জায়গায় নারীদের অবস্থান সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে। দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, তার মূল নারী। নেতৃত্বে নারী আছে। জাতীয় উন্নয়নে নারী অংশগ্রহণ করছে বলে আজ বাংলাদেশ ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

‘সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো, নারীদের সমতায় নতুন বিশ্ব গড়ো’ –প্রতিপাদ্যে এ সভার আয়োজন করেন কিশোর-কিশোরী ও নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রান্তিক এলাকায় পারিবারিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এনজিও ইউনিট ফর বডি রাইটস, হ্যালো আই এম এবং রাইট হেয়ার রাইট নাউ বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ, জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের বাংলাদেশ প্রতিনিধি অসা টর্কেলসন, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির প্রমুখ।

রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছে অনেক নারী। যৌন সহিংসতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ইস্যুতে উত্তরণে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। একইসঙ্গে জেন্ডার সমতা আনার পাশাপাশি নারীর প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনও গুরুত্বপূর্ণ।

আর এসজিডির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে জেন্ডার সমতা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন অসা টর্কেলসন। তবে এই লক্ষ্য অর্জনের পথে গতানুগতিক চিন্তাধারা বাদ দিয়ে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করার অনুরোধ করেন রোকেয়া কবির।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এইচএমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।