মূলত পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে দেশের জনস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলার উদ্দেশ্যে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্যের রিসার্চ কাউন্সিলের অর্থায়নে বিএসএমএমইউ ও ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে শুরু হবে এ কার্যক্রম।
জানা গেছে, এরইমধ্যে বিএসএমএমইউ’র ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ডের (আইআরবি) পক্ষ থেকে এ গবেষণার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নৈতিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি বছরসহ তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহের এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। যেসব বস্তিবাসীর তথ্য সংগ্রহ করা হবে ভবিষ্যতেও তাদের স্বাস্থ্যগত তথ্যের বিষয়ে ফলোআপ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। অসংক্রামক রোগের মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, বক্ষব্যাধি সংক্রান্ত সিওপিডি রোগ ইত্যাদি। গত বছরের নভেম্বর মাসে এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এদিকে বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রতিনিধি দলটির পক্ষ থেকে উপাচার্যকে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে চলমান গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. খালেকুজ্জামান প্রমুখ। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ’র প্রতিনিধি দলের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড প্রাইমারি কেয়ার বিভাগের প্রধান প্রফেসর জন দানেশ, প্রিন্সিপাল রিসার্চার ডা. রাজিভ চৌধুরী, প্রফেসর নিক মাসি টেয়লর, প্রফেসর ইমানুইলি ডি এনগেল্যানটোনিও, প্রফেসর সিমন গ্রিফফিন, রিচার্ড হাগটন, সিলভিয়া আলোনসো রদ্রিগুয়েজ, গিউলিয়া লোফফ্রেডা, সোফি ওয়েসটন, লারিসসা এমাডো প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এমএএম/জেডএস
