শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ৬০ জন রোগী ভর্তি। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরজাহান বেগম বাংলানিউজকে জানান, তার ভাইয়ের মেয়ে এশা (১১ মাস) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত ১০টায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দিন আক্রান্ত শিশুর জন্য খাবার স্যালাইন দিলেও পরের দিন থেকে আর দেওয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে কালি বাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদের তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৪৫) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা তার অবস্থা দেখে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। ভর্তি হওয়ার পর তাকে দু’টি খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়। ওই দু’টি স্যালাইন খাওয়ানো শেষে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় আর স্যালাইন নেই। শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত আবদুল কাদের হাসপাতালের সামনের ফার্মেসি থেকে ১২টি স্যালাইন কিনেছেন।
তাছাড়া লক্ষ্মীপুর শহরের মোবারক কলোনির বাসিন্দা আবদুল খালেক তার স্ত্রীর জন্য ও কমলনগরের চর মার্টিন ইউনিয়নের রোকেয়া বেগম তার নাতির জন্য বাজার থেকেই কিনছেন খাবার স্যালাইন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ মো. হারুন বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে খাবার স্যালাইন নেই। সরকারিভাবে সরবরাহকৃত স্যালাইন শেষ হয়ে যাওয়ায় রোগীর স্বজনরা বাজার থেকে স্যালাইন কিনেই হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে খাওয়াচ্ছেন।
ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা বিকাশ ভৌমিক জানান, স্টোর থেকে কিছু খাবার স্যালাইন এসেছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়।
হাসপাতালের স্টোরকিপার শামিমুল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালে ডায়রিয়া বেড ১০টি। খাবার স্যালাইন বরাদ্দও ১০ জনের জন্য। কিন্ত সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৬০-৮০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। যে কারণে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন নেই। জরুরি অবস্থার জন্য এক বস্তা (২০০০ পিস) স্যালাইন সংরক্ষিত ছিলো। সেগুলো ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তবে আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যেই সেগুলো শেষ হয়ে যাবে।
যোগাযোগ করা হলে লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ জানান, সাময়িক এ সংকট কেটে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এসআর/এসএ/এইচএ/