ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দরিদ্রদের বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা দিতে কোটা চাই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
দরিদ্রদের বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা দিতে কোটা চাই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শয্যা কোটা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থারও অবদান রয়েছে। দেশের বিপুল সংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সার্বজনীন আধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বিনামূল্যে চিকিৎসা কোটা নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজ মাঠে (কড়াইল বস্তি সংলগ্ন) বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে বহুমুখী বিশেষায়িত স্বাস্থ্য ক্যাম্প উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আছে, যেখানে চিকিৎসা শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নেই। ভালো অবকাঠামো নেই। হাসপাতালও থাকে না কিছু কলেজের। ফলে শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল থেকে সরাসরি ব্যবহারিক শিক্ষাও নিতে পারে না। সরকার এ ধরনের মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি বলেন, মানুষ অসুস্থ হলে আশ্রয়স্থল হিসেবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। সেই চিকিৎসক যদি মানসম্মত শিক্ষা না পায়, তবে যথাযথ চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হবে। সরকার তাই চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে কোনো আপস করবে না।

জাহিদ মালেক বলেন, জাতীয়ভাবে স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে। দেশের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোও এই সপ্তাহ পালনের উদ্দেশ্য। জনগণ যদি সঠিক পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ খাবার খায়, তবেই রোগমুক্ত জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বিপিএমসিএ -এর সভাপতি এমএ মুবিন খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গুলশান বিভাগ) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাছির, ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান মফিজ, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তীসহ বিপিএমসিএ-এর সদস্যভুক্ত বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মেডিকেল ক্যাম্পে যে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সেগুলো- বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, পপুলার মেডিকেল কলেজ, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ, তায়েরুন্নেছা মেডিকেল কলেজ, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, সিটি মেডিকেল কলেজ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ, রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, ডেলটা মেডিকেল কলেজ, শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ, ঢাকা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ এবং এনাম মেডিকেল কলেজ।

সহযোগিতা করে কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডেলটা মেডিকেল কলেজ, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস ও জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস।

বিনামূল্যে এই মাল্টি স্পেশালাইজড মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ১০ সহস্রাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।