শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন ও বাইপাস সার্জারির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ইশতিয়াক আহমেদ উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা বাইপাস সার্জারি বিভাগটি সাংবাদিকদের ঘুরে ঘুরে দেখান।
এসময় দেখা যায়, তিনতলায় দু’টি অস্ত্রোপচার কক্ষ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সাজানো।
এ বিষয়ে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, সরকার সব সময় সজাগ আছে, রোগী যেনো উন্নত বিশ্বের মতো আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশ পায়। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য খাতে সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাংলাদেশের লেডিং হাসপাতাল। এই হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি ছিল না। এ কারণে আমাদের একটু বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। এ হাসপাতালে সব বিষয়ে চিকিৎসা দিতে আমরা মোটামুটি সফল। শুধু আমাদের কার্ডিয়াক সার্জারি ছিল না। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রাধান্যতে এই প্রজেক্টে কাজ হয়েছে। অত্যন্ত আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে কার্ডিয়াক সার্জারির জন্য যেসব উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেরকম যন্ত্রপাতি আমাদের সার্জারি বিভাগের জন্যও আনা হয়েছে। আমাদের চিন্তা-ভাবনা আছে, আশা করি পবিত্র রমজানের আগেই এই বিভাগটির উদ্বোধন করা হবে।
এসময় অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, টোটাল সার্জারিটায় অনেক বেটার আউটকাম দেওয়া সম্ভব। এছাড়া লজিস্টিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে। যথেষ্ট ভালো লজিস্টিক পেয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, ফ্লোরগুলো দেখুন, স্পেশালিস্ট ফ্লোরগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, ময়লা জমে থাকার উপায় নেই। জীবাণু আটকে থাকবে না। সহজেই ময়লা ক্লিন করা যাবে। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি- ঢামেক হাসপাতালে বাইপাস সার্জারি বিভাগটি অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল থেকে খুবই আধুনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, বাইপাস সার্জারি অনেক সময়ের ব্যাপার। একটা সার্জারি করতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পরে নির্ধারণ করা যাবে প্রতিদিন কয়টা করে সার্জারি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এজেডএস/টিএ