শনিবার (৪ মে) বিএসএমএমইউ’র ইস্টাবলিশমেন্ট অব ইনস্টিটিউট অব প্যাডিয়াট্রিক নিউরো-ডিসঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনস অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকটিভ স্টেট অফ-২০১৯’ শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম খুরশিদুল আলমের সভাপতিত্বে ‘প্রসপেক্ট অফ রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।
রোবটিক সার্জারি এবং জন্মগত ত্রুটিসহ বিভিন্ন জটিল সমস্যায় আক্রান্ত যৌনাঙ্গের চিকিৎসা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের ককিলাবেন দিরুবাই আম্বানি হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইউরোলজিস্ট ডা. সঞ্জয় পাণ্ডে এবং সঞ্চালনা করেন বিএসএমএমইউ’র সহকারী অধ্যাপক ডা. কার্তিক চন্দ্র ঘোষ।
অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল উপস্থাপিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে জানানো হয়, বিএসএমএমইউতে এ পর্যন্ত ৫৩৯ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। হিসাব করে দেখা যায়, কিডনি প্রতিস্থাপনকরা রোগীদের ৯৫ শতাংশ কমপক্ষে ১ বছর বাঁচে। এরপর কমপক্ষে ৫ বছর বেঁচে থাকে ৮২ শতাংশ এবং ৭৮ শতাংশ কমপক্ষে ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন বা বেঁচে রয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিডনি দাতাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ৬০ শতাংশ ও পুরুষদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ। দাতাদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে (৩৩.৮ শতাংশ)। বিএসএমএমইউতে কিডনি প্রতিস্থাপনে খরচ হয় ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা।
প্রবন্ধে আরও বলা হয়, ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে ১৭৬০ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত হয়েছে ৪০ জন রোগীর। এছাড়া বছরওয়ারী হিসাব মতে ২০০৮ সালে ১১৬, ২০০৯ সালে ১৪২, ২০১০ সালে ১৫৭, ২০১১ সালে ১১৪, ২০১৩ সালে ১৪৫, ২০১৪ সালে ১৩৮, ২০১৬ সালে ১২২, ২০১৭ সালে ১৪৫ এবং ২০১৮ সালে ১৩০ জন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে ৫৩৯ জন রোগীর। এছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিস অ্যান্ড ইউরোলজিতে ৫২৯ জন, কিডনি ফাউন্ডেশনে ৪৬২ জন ও বারডেমে ১১৫ জন রোগী।
অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল জানান, বর্তমানে সংক্রামক ব্যাধি ছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি অকার্যকারিতার অন্যতম কারণ। কিডনি সুস্থ রাখতে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভেজাল খাবার অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। ব্যথা নাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। যেকোনো সংক্রমণ হলে বা শরীরে ইনফেকশন হলে শুরুতেই চিকিৎসা নেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এমএএম/এসএইচ